প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'আজ রক্তাক্ত ২১ আগস্ট। দেশের ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের দিন। একটি নারকীয় সন্ত্রাসী হামলার ১৮তম বার্ষিকী। ২০০৪ সালের এইদিনে সভ্য জগতের অকল্পনীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় রাজধানীর এক রাজনৈতিক সমাবেশে। আওয়ামী লীগের জনসভায় চালানো গ্রেনেডের হিংসার দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে।'
তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার। সেদিন 'সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী শান্তি মিছিলের' আয়োজন করেছিল সেইসময়কার বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি মিছিলের আগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর সামনে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রাকমঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতার শেষ হওয়ার পরপরই বিকাল ৫টা ২২ মিনিটে তাকে টার্গেট করে উপর্যপুরি গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে থাকে একের পর এক গ্রেনেড। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১৩টি গ্রেনেড বিস্ফোরণের বীভৎসতায় মুহূর্তেই মানুষের রক্ত-মাংসের স্তূপে পরিণত হয় সমাবেশস্থল। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে। স্প্লিন্টারের আঘাতে মানুষের হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিন্নভিন্ন হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায় রক্তাক্ত নিথর দেহ। লাশ আর রক্তে ভেসে যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর সামনের পিচ-ঢালা পথ। নিহত-আহতদের জুতা-স্যান্ডেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। ভেসে আসে আহত ও মৃত্যুপ্রায় মানুষের গগনবিদারী আর্তচিৎকার।
-ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও আহত হয়েছিল বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। এদিকে গ্রেনেড হামলার পর ভয়, শঙ্কা ও ত্রাস গ্রাস করে ফেলে গোটা রাজধানীকে। এই গণহত্যার উত্তেজনা ও শোক আছড়ে পড়ে দেশ-বিদেশে। হামলার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিজে বাঁচতে ও অন্যদের বাঁচাতে যখন ব্যস্ত হয়ে পড়ে ঠিক তখনই পুলিশ বিক্ষোভ মিছিলের ওপর বেধড়ক লাঠি-টিয়ার শেল চার্জ করে।
এতে নষ্ট হয় সেই রোমহর্ষক আলামত। পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রত্যক্ষ মদতে ওই ঘটনা ধামাচাপা, 'জজ মিয়া' নাটক সাজিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিতসহ হেন কোনও কাজ নেই যা করেনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।
কর্মসূচি
-একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ২১ আগস্ট রবিবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সোয়া দশটায় একই স্থানে আলোচনা সভা। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে নারকীয় গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে উপরোক্ত কর্মসূচিতে দলের
আজ রক্তাক্ত ২১ আগস্ট
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে সারাদেশে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদবিরোধী বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।